তরিকুল ইসলাম নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় ড্রেন নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। ড্রেন নির্মাণ কাজে দরপত্রে উল্লেখিত নিয়মে কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
গত কয়েকদিন ধরে হাসমত এন্ড ব্রাদার্স নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কাজ শুরু করে। সেই কাজে অনিয়ম ধরা পড়ে। এতে করে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
তবে নির্মাণ কাজে কোনো অনিয়ম হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন হাসমত এন্ড ব্রাদার্সের তাই স্বত্বাধিকারী হাসমত আলী হাসু। কার্যাদেশ মেনে নির্মাণ কাজ হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেছেন।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় ড্রেন নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। ড্রেন নির্মাণ কাজে দরপত্রে উল্লেখিত নিয়মে কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
গত কয়েকদিন ধরে হাসমত এন্ড ব্রাদার্স নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কাজ শুরু করে। সেই কাজে অনিয়ম ধরা পড়ে। এতে করে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
তবে নির্মাণ কাজে কোনো অনিয়ম হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন হাসমত এন্ড ব্রাদার্সের তাই স্বত্বাধিকারী হাসমত আলী হাসু। কার্যাদেশ মেনে নির্মাণ কাজ হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেছেন।
জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় পানি নিষ্কাশনের জন্য ফুটওভার ব্রিজ থেকে শুরু করে শহীদ মজনু পার্ক পর্যন্ত ড্রেন ও গুরুত্বপূর্ণ ৪টি স্থানে আরসিসি ঢালাইয়ের জন্য দরপত্র আহ্বান করে। পরে হাসমত এন্ড ব্রাদার্স নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকায় কার্যাদেশ পান। কার্যাদেশ পাওয়ার পর গত ২০দিন ধরে নির্মাণ কাজ শুরু করেন। নির্মাণ কাজের শুরু থেকে ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজে অনিয়ম করে যাচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান, কার্যাদেশ মেনে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কাজ করছেন না। ড্রেনের মাটি সরিয়ে তারা বিক্রি করে দিয়েছেন। ড্রেনের দুপাশের দেয়াল ঢালাইয়ের পর ফাঁকা অংশে ড্রেন থেকে তোলা মাটি ব্যবহার করে ভরাট করার কথা থাকলেও তা পার্শ্ববর্তী খাল থেকে এনে পলিথিন মিশ্রিত কাদা মাটি দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। ড্রেন নির্মাণ কাজে ৬ ইঞ্চি স্রাব ও ঢালাই দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হচ্ছে ৫ইঞ্চি। ১২মিলি রড ব্যবহার করার উল্লেখ থাকলেও সেখানে ব্যবহার হচ্ছে ১০মিলি রড। ড্রেনের সলিংয়ে তিন ইঞ্চি সিসি ঢালাইয়ে দেওয়া হয়েছে মাত্র এক ইঞ্চি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ মেনে যেভাবে কাজ করার কথা সেভাবে কাজ করছে না। ৭-৮টি গ্রামে পানি নিষ্কাশনের জন্য এ ড্রেন ব্যবহার করা হবে। নিম্নমানের কাজ করা হলে অল্প সময়ের মধ্যে তা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কাজের সঠিক নজরদারি করলে অনিয়ম করতে পারবে না।
হাবিবপুরের এলাকাবাসী বলেন, ঢালাইয়ের পর কিউরিং না করেই ময়লা-আবর্জনা দিয়ে ঢালাইয়ের ফাঁকা স্থান ভরাট করছে। ময়লা-আবর্জনার দুগর্ন্ধে আশপাশে বসা যাচ্ছে না। অনিয়ম বন্ধে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
বাড়ি মজলিশ গ্রামের আশরাফুল আলম বলেন, ড্রেন নির্মাণের মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিনের ভোগান্তি শেষ হবে। তবে নির্মাণ কাজে অনিয়ম থাকলে ড্রেনটি বেশিদিন স্থায়ী হবে না। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম রোধে প্রশাসনের নজরদারি দরকার।
হাসমত এন্ড ব্রাদার্সের স্বত্বাধিকারী হাসমত আলী হাসু বলেন, কার্যাদেশ মেনে নির্মাণ কাজ করছে। নির্মাণ কাজে কোনো অনিয়ম হচ্ছে না। ড্রেনের মাটি সরিয়ে কাজের অন্য সাইডে নেওয়া হয়েছে। কার্যাদেশে ঢালাইয়ের ফাঁকা অংশে বালুর ব্যবহার উল্লেখ নেই। তবে সঠিক নিয়মে তার প্রতিষ্ঠান কাজ করে যাচ্ছে।
সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা রহমানের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলে তিনি তা রিসিভ করেননি।
নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আল রাজী নিলয় বলেন, ঠিকাদারী কাজে অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই। কার্যাদেশ মেনেই কাজ করতে হবে। অনিয়মের প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।