নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
গোদনাইল বার্মাষ্ট্যান্ডের মেহেদী এন্টারপ্রাইজের মালিক আনোয়ার হোসেন মেহেদী বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নারায়ণগঞ্জ - ০৪ আসনের সাবেক এমপি শামীম ওসমানের হাত ধরে আঙুল ফুলে কলা গাছ হয়ে উঠে। খোঁজনিয়ে
জানা যায়, মেহেদির বাবা অত্র এলাকার মুক্তিযোদ্ধা মহসিন প্রধানের বাসায় কাজ করতো,তাদের বাড়িতে একটি বেড়ার ঘর ছিলো। সাবেক এমপি শামীম ওসমানের ছত্র ছয়ায় সে ও তার ভাইয়েরা চোরাই তেলের ব্যবসা করে বর্তমানে শত শত কোটি টাকার মালিক। আওয়ামিলীগ সরকারের পতনের পর নারায়নগঞ্জের সাবেক এম পি শামিম ওসমান, নাসিক ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতিগংরা এলাকা থেকে পালিয়ে গেলেও তাদের দোসর আনোয়ার হোসেন মেহেদি এখনো এলাকাতে বহাল তরবিয়তে।
নারায়ণগঞ্জে শামিম ওসমানের ডাকা যেকোনো সভা,সমাবেশে, হরতাল,অবরোধ কর্মসূচিতে মেহেদীর নেতৃত্বে হাজার হাজার লোক যোগদান করতো।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর মেহেদির বিরুদ্ধে মামলা হলেও বহাল তবিয়তে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে তিনি। তার এই অবাধ ঘুরাঘুরিতে আতঙ্কিত এলাকার সাধারণ মানুষ। মেহেদী গ্রেফতার না হওয়াতে এলাকাবাসী,ছাত্র- ছাত্রী ও অভিবাবকদের মাঝে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা গেছে।
এলাকাবাসী জানায়,বি এন পি নেতা অকিল ভুইয়ার বিয়াই ইলিয়াস কবিরকে গোদনাইল পদ্মা ডিপোতে পুনরায় তার পদে ফিরিয়ে আনতে মোটা অংকের টাকা লেনদেন করা হয়েছে মেহেদীর মাধ্যমে। উল্লেখ্য গত আট থেকে ৯ মাস আগে গোদনাইল পদ্মা অয়েল কোম্পানি থেকে ইলিয়াস কবিরকে চট্রগ্রামের গুপ্তখালে বদলি করা হয়।
মেহেদির বিরুদ্ধে দলিল জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাৎ, অন্যের জায়গা জোর ভাবে দখল,সরকারি জায়গা দখল সহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।
পদ্মা অয়েলকে কেন্দ্র করে মেহেদী অঢেল সম্মত্তির মালিক হয়েছেন। এই সম্পদের হিসাব নিতে দুদকের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।
তারা আরো বলেন, আওয়ামিলীগ সরকারের সাবেক এম পি শামিম ওসমানের প্রভাব খাটিয়ে সে নিজেকে পদ্মা অয়েল কোম্পানির ডন মনে করেন,যার কারনে সে ডিপোর বড় বড় কর্মকর্তাদেরকে অন্যত্র বদলি করিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ডিপোতে তেল নিতে আসা ভোক্তাদেরকে মিটার ট্যাম্পারিংয়ের মাধ্যমে তেল কম দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন যার প্রমান কয়েকটি জাতীয় চ্যানেলের প্রতিবেদনে উঠে এসেছিলো।
গাড়ির সাধারণ কর্মচারিরা তার ও তার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কিছু বললেই তাদেরকে ডিপো থেকে তেল নেয়ার জন্য গাড়ীসহ প্রবেশ করতে দিতোনা মেহেদির সিন্ডিকেটের লোকেরা।
কিছুদিন আগে মেহেদির নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেহেদি এন্টার প্রাইজের স্টাফদের মনমতো সুবিধা ভোগ করতে না দেয়ায় মাসুম নামের একজন দারোয়ানের বিরুদ্ধে মানব বন্ধন করিয়ে তাকে ঢাকার হেড অফিসে বদলি করার অভিযোগ উঠেছে আনোয়ার হোসেন মেহেদির বিরুদ্ধে।
তার অপকর্মের বিরুদ্ধে এতোদিন কেও মুখ না খুওললেও সরকারের পতনের পর থেকে তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন এলাকাবাসী।